মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় নতুন জঙ্গি আস্তানার সন্ধানে অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) দল যোগ নেয়া হয়েছে। এই অভিযানে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান নেতৃত্ব করছেন এবং পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কাজ করছেন।
মঙ্গলবারে সকালে কুলাউড়া থানার ওসি আব্দুস ছালেক জানান, আটক জঙ্গিদের সন্ধানে সিটিটিসি দল অভিযানে নিয়ে গেছে। এই অভিযানে রয়েছেন সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ বাজার থেকে স্থানীত লোকজনের সাহায্যে ১৭ জন জঙ্গি আটক করা হয়েছে। এই তথ্য জানানো হয়েছিল কুলাউড়া পুলিশ থানার ওসি আব্দুস ছালেকের দ্বারা। অভিযানের পরিচালনা করেছেন সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
বিস্তারিত জানানো হবে, অভিযান শেষে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। এই অভিযানে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট যোগ নেয় এবং এর নেতৃত্ব প্রধান মো. আসাদুজ্জামান করছেন।
অভিযানের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই অভিযানে আটক জঙ্গিদের নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম দল সহযোগিতা করছে। অভিযানের ফলে স্থানীত লোকজনের সহায়তায় জঙ্গি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই অভিযানে নেতৃত্ব করেছেন সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, এই আটক জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদ কাফেলা’র সদস্যেরা। এই অভিযানে সিটিটিসির সদস্যরা নিশ্চিত হয়েছে, নতুন জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সেদিন বেলা পর্যন্ত অভিযান চলতে থাকবে এবং অভিযানের শেষে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। সিটিটিসি এই অভিযানে মো. আসাদুজ্জামান নেতৃত্ব করে গ্রেপ্তার জঙ্গি সদস্যরা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছে।
এই অভিযানে প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সত্তরে জন জঙ্গি আটক হয়েছিল মিরপুর থেকে, এই সংগঠন থেকে আরও দশটি জন জঙ্গি আটক হয়েছিল। এছাড়াও আগামীকাল ফরহাদ নামে আরও এক জন জঙ্গি আটক হয়েছিল এবং তার তথ্যের উপর ভিত্তি করে মৌলভীবাজারে অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযান শেষে একটি সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের ধারণা দিয়েছেন, কিছু জঙ্গি সদস্যগণ আস্তানা থেকে পালিয়ে গেছে এবং তারা আস্তানার বাইরে আত্মগোপন করছে।