স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার জন্য ক্লিনিকে রোগীদের থেকে টাকা আদায়ে সমস্যা!

বিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকে একটি দানবাক্স সম্পন্ন করে তাতে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠছে। এই ক্লিনিক হলো একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা স্থানীয় হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সুব্রত কুমার হালদার এবং অন্যান্য কর্মরতরা চালাচ্ছে। এই ক্লিনিকে রোগীদের থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠছে, সহিত তাদের জীবনসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা নিতে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠানগুলির ১৭টিতে একজন করে হেলথকেয়ার প্রোভাইডার দায়িত্বে আছেন। এই ক্লিনিকগুলি প্রান্তিক হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ৩০ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করছে, যা দিনে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী সেবা নিচ্ছে।

সরেজমিনে পৌরসভার আজিমনগরে অবস্থিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের সেবা নেওয়ার সময় দেখা যাচ্ছে, একাধিক রোগী ওষুধ নিতে গিয়ে একটি কাঠের দানবাক্সে টাকা দিচ্ছেন। তাদের অনুভূতি অনুযায়ী, যখন তারা ক্লিনিকে ওষুধ নেওয়ার জন্য যান, তখন তাদেরকে টাকা দিতে হয়ে থাকে। হতদরিদ্র রোগীরা ওষুধ পাওয়ার জন্য দানবাক্সে টাকা দেওয়ার পর তাদেরকে ওষুধ দেওয়া হয় বলে তাদের অভিযোগ। তাদের অনুভূতি অনুসারে, কমিউনিটি ক্লিনিক উন্নয়নের জন্য তাদের ইচ্ছা মূলকভাবে টাকা দেওয়া হয়নি। এটি শুধুমাত্র রোগীদের ইচ্ছা মূলক।

কমিউনিটি ক্লিনিকের কিছু সেবাগ্রহীতা অভিযোগ করেছেন, এই অভিযোগে উল্লেখ হয়, ‘ওই ক্লিনিক থেকে ওষুধ নিতে গেলেই টাকা দিতে হয়। ওষুধ থাকা সত্ত্বেও তাদের ওষুধ দেয় না। তাই বাধ্যতামূলকভাবে আমরা টাকা দিচ্ছি।’

একজন সেবাগ্রহীতা ফরজান বিবি বলেন, ‘আমি ওষুধ নিতে এলে তাদের বাক্সে টাকা দিতে বলেন। তাই আমি ১০ টাকা দিয়েছি। ক্লিনিকে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকলেও দানবাক্সে টাকা না দিলে তাদের ওষুধ দেন না। তাই টাকা দিয়েই ওষুধ নিয়েছি।’

অন্য এক সেবাগ্রহীতা রাজু মিয়া জানান, ‘ক্লিনিকে এসে দেখেন অনেকেই দানবাক্সে টাকা দিচ্ছেন। তাই তিনিও ১০ টাকা দিয়েছেন। কেন দিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘ক্লিনিক থেকে ওষুধ নিতে গেলে টাকা দিতে হয়। তাই টাকা দেওয়ার পর আমাকে এক পাতা (১০টি) প্যারাসিটামল ও কিছু আয়রন ট্যাবলেট দিয়েছে তারা।’

ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সুব্রত হালদার বলেন, ‘ক্লিনিকের উন্নয়নের জন্য সেবাগ্রহীতারা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী দানবাক্সে টাকা দিচ্ছেন। কেউ তাদের টাকা দিতে বাধ্য করেনি। আমরা সবাইকে বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে ক্লিনিকে দানবাক্স বসানো হয়েছে বলে তিনি জানান।’

বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ক্লিনিকে ৫০ থেকে ১০০ জন সেবাগ্রহীতা সেবা নিচ্ছে। ক্লিনিকের টুকটাক উন্নয়ন কাজের জন্য সেবাগ্রহীতাদের থেকে দান নেওয়া হচ্ছে। তারা নিজ ইচ্ছায় দান করছেন, কেউ তাদের টাকা দিতে বাধ্য করেনি।