পূজার হাতে পূজার রান্না

আজ নবমী, সারা দিনই বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়াবেন নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত। আগামীকাল বিজয়া দশমীর দিন তাঁর সব আয়োজনের কেন্দ্রে থাকবে বাসা। পূজা বলছিলেন, প্রতিবছরই বিজয়া দশমীর দিন বাসায় একটু ভিন্ন ধরনের রান্নার আয়োজন থাকে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে চলে নিরামিষ। দশমীর দিন অনেকেই বাসায় বেড়াতে আসেন। সে অনুযায়ীই ঠিক হয় মেনু।

পূজার পোলাও রান্নার বিশেষ সুখ্যাতি আছে। শর্ষে ইলিশ রেঁধেও পেয়েছেন প্রশংসা। পূজা জানালেন, তাঁর মা নন্দিতা সরকার খুব ভালো রাঁধতেন। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু রান্না শিখেছেন পূজা। দিদিমা-ঠাকুরমার কাছ থেকেও শিখেছেন নতুন কিছু রেসিপি।

নকশার পাঠকদের জন্য এমনই কিছু মজার রান্না করলেন
পূজা সেনগুপ্ত।

পোলাও

উপকরণ

পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ, আদা ও জিরাবাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৯টি, দারুচিনি ৪টি, এলাচি ৫টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ২টি, ভাজা পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, বাদাম ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি

চাল ভালো করে ধুয়ে ঝাঁজরিতে রাখুন। নির্জলা চালটুকু তেল দিয়ে মেখে নিন। সব মসলা ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। চাল দিয়ে এবার ঢাকনা দিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর চাল সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

শর্ষে ইলিশ

উপকরণ

বড় আকারের ইলিশ মাছ ১টি, হলুদ ১ চা–চামচ, লবণ স্বাদমতো, শর্ষেবাটা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ১০টি, শর্ষের তেল ১ কাপ, কালিজিরা ১ চা–চামচ, পানি দেড় কাপ, আচারের তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি

ইলিশ মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। এরপর ১ টেবিল চামচ শর্ষেবাটা মাছে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। চুলায় ছড়ানো ননস্টিক প্যানে শর্ষের তেল গরম করে কালিজিরা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে একটু নেড়ে নিতে হবে। কালিজিরা ও কাঁচা মরিচের ঘ্রাণ বের হলে মেখে রাখা মাছগুলো দিয়ে হালকা তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার বাকি শর্ষেবাটা দিয়ে দিতে হবে। পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাছ সেদ্ধ হয়ে তেল ভেসে উঠলে লবণের স্বাদ দেখে নিতে হবে। এবার চার থেকে পাঁচটি কাঁচা মরিচ ও আচারের তেল ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

ছানালু

উপকরণ

ছানা (১ কেজি দুধে যতটুকু হবে), জিরার গুঁড়া ১ চা–চামচ, আদাবাটা দেড় চা–চামচ, জিরাবাটা ১ চা–চামচ, তেজপাতা ১টি, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা–চামচ, আলু ২টি, কাঠবাদাম ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি

প্রথমেই দুধ থেকে ছানা তৈরি করে নিতে হবে। তেল গরম করে ছানা ও আলু ভেজে নিতে হবে। এবার গরম তেলে সব বাটা মসলা কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে আবারও কষান। অল্প পানি দিন। ঘন হয়ে এলে বাদামবাটা দিয়ে দিন। কষানো হলে ছানা ও পানি দিয়ে নেড়ে গ্রেভি হলে নামিয়ে ফেলুন।