একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের টেলিভিশন সম্প্রচারস্বত্বের দাম কমাবে না, অন্যদিকে স্কাই স্পোর্টসও বাড়াবে না তাদের প্রস্তাবিত মূল্য। এ দুইয়ে মিলে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজ সম্প্রচার পড়ে গিয়েছিল অনিশ্চয়তায়। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তাদের প্রণোদনায় শেষ পর্যন্ত টেলিভিশনে সিরিজটি দেখতে পাবেন যুক্তরাজ্যের দর্শকেরা, এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ। আগামী ১ মার্চ শুরু হবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সিরিজ।
সে প্রণোদনার বিনিময়ে অবশ্য একটু সুবিধাও নিচ্ছে ইসিবি। স্কাইয়ের পাশাপাশি নিজেদের ওয়েবসাইটে বিনা মূল্যে এ সিরিজ দেখার ব্যবস্থা রাখছে তারা। এর আগে নেদারল্যান্ডস সফরের ম্যাচগুলোও এভাবে নিজেদের ওয়েবসাইটে স্ট্রিমিং করেছিল ইসিবি।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই এ সিরিজের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল স্কাই। এ মাসের শুরুতে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিও হয়েছিল। তবে সম্প্রচারস্বত্বের মূল্য নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় সে চুক্তি টেকেনি। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল সেটি। স্কাইয়ের চাওয়া ছিল বিসিবি দাম কমাবে, বিসিবি চেয়েছে স্কাই তাদের প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ বাড়াবে।
ইসিবির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্প্রচার চুক্তি আছে ইসিবির। সে পক্ষের সঙ্গে বিসিবিকেও খুশি রাখতে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসে ইসিবি। দুই পক্ষের দর–কষাকষিতে তৈরি হওয়া যে পার্থক্য, সেটিই প্রণোদনা হিসেবে দিচ্ছে ইসিবি। এর বিনিময়েই নিজেদের ওয়েবসাইটে সিরিজটি স্ট্রিমিং করবে তারা।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে শিগগিরই। সিরিজ শুরুর দুই দিন আগে আজই চূড়ান্ত হয়েছে এটি। এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের বাজারে এ সিরিজ নিয়ে আগ্রহের অভাব ও সম্প্রচার কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত মূল্য দেখে নাকি অবাকই হয়েছে বিসিবি।
এ সিরিজে ইংল্যান্ড পাচ্ছে না প্রথম সারির একাধিক ক্রিকেটারকে। এ মুহূর্তে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল ব্যস্ত নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলতে, ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হবে আগামীকাল। টেস্ট দলে থাকা জো রুট, হ্যারি ব্রুককে তাই ওয়ানডে সিরিজে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। এদিকে অ্যালেক্স হেলসসহ কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকা কয়েকজন এ সিরিজে খেলছেন না পাকিস্তান সুপার লিগে ব্যস্ত থাকায়।
তাঁদের বাদ দিলেও অবশ্য বেশ শক্তিশালী দল নিয়েই বাংলাদেশ সফরে এসেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এ বছরের অক্টোবরে ভারতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের দারুণ প্রস্তুতির সুযোগ হিসেবেই এটিকে দেখছে দলটি। বিশ্বকাপের আগে এটিই হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের দেশের বাইরে শেষ ওয়ানডে সিরিজ।